মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০৬

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরিশালে সেই পাগলি ও অবুঝ শিশুর পাশে ওসি নুরুল ইসলাম

dynamic-sidebar

রিয়াজ মাহমুদ আজিম  ॥ বরিশাল নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে এক পাগলির বাচ্চা হয়েছে সংবাদটি শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছুটে যান বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম।

এসময় তিনি বাচ্চা ও পাগলি মায়ের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। তিনি বাচ্চা ও মায়ের সার্বাধিক চিকিৎসা সেবা দিতে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সংশ্লীষ্টদের সাথে কথা বলেন। তিনি বাচ্চা ও তার মায়ের চিকিৎসায় সেবায় একজন মহিলা পুলিশ নিযুক্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, বুধবার সন্ধ্যার পরে তার জন্ম। বরিশাল চরকাউয়াি খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনিতে শিশুটি জন্ম নিয়েছে, তাও মাফুজা নামে এক পাগলির গর্ভে।

সন্ধ্যার পরে সন্তানসম্ভবা এক পাগলি মায়ের প্রসববেদনার চিৎকার ভারি করে তুলছিল খেয়াঘাট এলাকা। এমন একটি জনবহুল জায়গায় চিৎকারের শব্দ শুনে গন্তব্য করে ছুটে গিয়েছিলেন কিছু মহৎ তরুণ ও নারী।

বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল চরকাউয়া খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনিতে মাফুজা (১৯) নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এক ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন।

স্থানীয়দের মতে, মাফুজা প্রায় মাস খানেক যাবত ধরে মানসিক অসুস্থ অবস্থায় খেয়াঘাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। প্রসববেদনায় মাফুজার চিৎকার শুনে স্থানীয় কিছু নারী, যুবক এগিয়ে আসলে সেখানেই তার প্রসব হয়, এখন মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।

ওখানে উপস্থিত এক সংবাদকর্মী জানান, ‘হুট করে এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় উপস্থিত সকলে। প্রথমে সবাই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। মুহূর্তেই তারা সামলে নিয়ে এদিক-ওদিক ফোন দিয়ে জেনে নেন কী করতে হবে। শিশুটির নাড়ি তখনো কাটা হয়নি। কয়েক নারীকে ডেকে আনলেও কেউ শিশুটির নাড়ি কাটতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাদের মধ্যে এক নারী সাহস করে শিশুটির নাড়ি কাটেন।

এদিকে স্থানীয়রা মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর কাছে শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অবশ্য সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দত্তক প্রদানের দাবি জানিয়েয়েন তারা।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net